কিভাবে জিততে হয়- এটা আবার শেখার বিষয় হলো নাকি? এর উত্তরটা এখানে আমি এভাবে দিতে চাই- “আমার যে সামর্থ্য আছে সেটা দিয়ে কিভাবে আমি জিততে পারবো- সেই বিষয়টাই আমার কাছে মনে হয় সবচে’ ভাল করে শেখার মত একটা বিষয়। আসলে সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন এটা নয়। প্রশ্নটা হলো- মানসিকতার। এই বাতাসটাই ধরতে পারে না বেশির ভাগ মানুষ। আর ঠিক এই কারণেই বেশীর ভাগ মানুষ স্বপ্ন-টপ্ন বাদ দিয়ে সাধারণ জীবন-যাপন বেছে নেয় কিংবা ভাগ্য-দোষ হিসাবে মেনে নেয় সব কিছু।” এভাবে স্বপ্নের মৃত্যু হয়। সে হেরে যায়। কিন্তু আমি বলবো তুমি আশা হারাবে না কখনো। কখনোই হাল ছাড়বে না। পথে অনেক বাধা। আমার যেমন হয়েছে- একটা কম্পিউটার দরকার। সস্তার ভিতরে কিছু একটা- হোক তা সেকেন্ডহ্যান্ড। মাত্র ৮/১০ হাজার টাকার মধ্যে হলেই চলবে। কয়েক মাস অপেক্ষা করার পর আমার একজন শুভাকাংঙ্খী এবং একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী আশিকুল বাশার ভাই একটা নতুন পিসি পাঠিয়ে দেন। তিনি রাগ করেছিলেন এটা বলে যে আরো আগে কেন এই সাপোর্টটা আমি চাইলাম না। তারপর? একটা হেড ফোন কিনতে লাগবে ৭৫০টাকা। একটা ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার মাত্র ৫০০ টাকা। কিন্তু তাও নেই আমার কাছে। নূন আনতে পানতা ফুরায় এমন যখন অবস্থা, তার উপরে বাড়তি সমস্যা হলো আরেকটি- কয়েকটি টেকনিক্যাল বিষয়ে একেবারেই একাকী শিখে-বুঝে নিতে হবে। তারপরে সেই জানা টাকে নিজের মতো করে প্রয়োগ করে আয় করতে হবে অনলাইন থেকে। এর ভিতরে ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার- ক্যামতাশিয়া, ভিডিওস্ক্রাইব, ফটোশপ, আফটার ইফেক্ট, অডিওস্পেকট্রাম -এগুলোর ব্যবহার ভালভাবে রপ্ত শুধু নয়-রীতিমতো অভিজ্ঞ একজন হতে হবে। ফলে- সময়টা কোথায় কী পরিমান যাবে -বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়ার কথা একবারও মনে আসেনি। এমনও হয়েছে যে- দিনের পর দিন- কেটে যাচ্ছে এভাবেই কিছুই কিনতে পারছি না। কিনতে পারার সামর্থ্য নেই বলেই এই সমস্যা কিন্ত আমার শিখে নিয়ে প্রয়োগ করা এবং এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে সফল হওয়ার জন্য যে সামর্থ্য দরকার, তা নিয়ে আমার ভিতরে কোন সমস্যা, সংশয় বা দ্বিধা- কোনটাই নেই। আমি জানতাম আমি পারবো। কারণ আমি অনেক ছোট বেলাতেই শিখেছিলাম- কিভাবে জিততে শিখা যায় সেই বিদ্যা। তাই বলছি- আমার মনে হয়, কিভাবে জিততে হয়- সেটা শেখা অবশ্যই গুরুত্ত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment