Social Icons

Pages

Featured Posts

Thursday, May 7, 2020

I'm a believer in the perfectibility of Human Being.

"The Circle is a gripping modern thriller, set in the not-too-distant future, starring Emma Watson (“Harry Potter”), Tom Hanks (“Sully”) and John Boyega"

The title of my writing really, really created many feelings in my heart. That's the positivism. I like to motivate myself in that way. I found the dialogue in the movie "The Circle" and one of my favorite actors Tom Hanks was telling that in such a way that just dropped me into the positivism very softly. That's the way I go.
And here I like to invite you to know how to start for a journey to be motivated by self efforts.

Well, I admit time doesn't go in same way like we expect for happiness. It's needed some renovation time to time. Since we can't do that very efficiently we need to go to someone for advice or sharing! But if you think and work on self-dependency that really would help you most for remaining inside the area of positivism. But how can you do that? Yes the things you need are not very tough to get. These are the elements always around you. You just need going through such articles or movies or anything having the power to empower yourself. You need to go to music even! Because it's also having such power- I believe.          

Tuesday, December 6, 2016

The Secret of Success

Yea, finally the word "SUCCESS" made a sense to me, but not in 'someday' and 'very suddenly'. It came to me as a summery like Robert De Nero said in the movie "The Intern" that- "I realized the key to the whole deal was to keep moving. That is an ongoing relentless effort in creativity". We see in the movie- he once found an street-ad published by an internet place named  fit.com was "looking for a man having organizational skills and a genuine interest in e-commerce".  They also mentioned- Senior must be over 65. We need your experience and we'll teach you what we know". That's the based-story of the movie.

My experiences made me think in that way. I felt the same. Yap, I admit, sometimes your fate can take you there, where I didn't even imagine to be. But the summery of the success is that you have to keep moving and that really is an ongoing relentless effort in creativity.

The fit.com asked the applicants a video to upload on YouTube or vimeo. Robert De Nero did that accordingly and he described himself there: "So here I'm applying to be one of your interns. Because, the more I think about this idea, the more tremendous I think it is. I love the idea of having a place I can go everyday.  I want the connection, the excitement. I want to be challenged. and I guess I might even want to be needed. The tech staff might take a bit to figure out. I had a call to my 9-year-old grandson just to find out what a USB connector was. But I'll get there. Eager to learn. Also I want to know I've been a company man all my life. I'm loyal. I'm trustworthy and I'm good in crisis. And I love that you're right here in Brooklyn. I've lived here all my life and lately I feel that I may not be hip enough to live in Brooklyn, so this could help with that too. I read once, musicians don't retire. They stop when there's no more music in them. Well, I still have music in me. Absolutely positive about that. 

So, friends, here we go. We always should have a feeling like Robert De Nero described himself as an applicant of the job. Bellow my article I kept the link of the movie "The Intern". And yes! In the movie you are gonna watch Anne Hathaway (the famous actress of "Interstellar") as the boss of Robert De Nero! Enjoy!!!

 http://fmovies.to/film/the-intern.woml/k3xlv4

Thanks. 

Saturday, November 26, 2016

উদ্দেশ্য এবং যাত্রা

আমার এই লেখার  উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের সমস্ত গরীব বেকার যুবকদেরকে বিনামূল্যে এতটুকু সাপোর্ট দেয়া বা সাহায্য করা যাতে করে তারাও হতাশা কাটিয়ে জীবনে সাফল্যের স্বাদটুকু যেন গ্রহন করতে পারে। পক্ষান্তরে সেটা আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে। সবচে’ বড় কথা হলো সমাজে ধনী-গরীবের পার্থক্য কমিয়ে আনবে। আমার স্বপ্ন পূরণের পথে আমি প্রথম যে সমস্যাটার মুখোমুখি হই তাহলো- স্বল্প-শিক্ষিত এই সব মানুষগুলো মোটেও স্থির নয়। একটা অস্থিরতা এদের যেন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। বেশিদিন কোথাও তারা কাজ করে না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে- তারা কিছুদিন বা কয়েকমাস একটা কাজ করে। এরপর দেখা যায়, পরের কয়েক মাস আরেকটা কাজ করে। এটা হতে পারে যে, হয়তো বা আরো ভাল হবে ভেবেই তারা এমনটা করে থাকে। কিন্তু এতে করে এদেরকে সাপোর্ট দেয়া এবং সাফল্যের লক্ষে এগিয়ে নেয়া দূরূহ হয়ে পড়বে। 
হ্যাঁ, বলতে গেলে এখানে আরো একটি কঠিন সমস্যা আছে। তাহলো- তথাকথিত উপরতলার মানুষগুলো- যাদের এইসব সাধারণ মানুষগুলোকে তাদেরই কোম্পানীর ব্যবসার জন্য প্রয়োজন, তারা নিজেরা এবং তাদের ম্যানেজম্যান্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রেই  এই সব সাধারণ মানুষগুলোর সাথে ভাল ব্যবহার করে না। তৃতীয় যে সমস্যাটা আমি দেখেছি সেটা হলো- বৈধ প্রাইভেট নিরাপত্তা কোম্পানীর বাইরে অনেক অবৈধ নিরাপত্তা কোম্পানী আছে যারা নিরাপত্তা কর্মীদের ভাল সুযোগ-সুবিধা তো পরের কথা বরং নিরাপত্তা কর্মীর জন্যে ন্যুনতম মানবিক মুল্যবোধই এদের নেই। অধিকারের ক্ষেত্রেও তারা এইসব সাধারণ মানুষদেরকে এমনভাবে নিঃগৃহীত এবং বঞ্চিত করে যা রীতিমত চরম অন্যায়ের সামিল। তাহলে কিভাবে আমি এইসব মানুষদেরকে সাহায্য করবো যারা ইতিমধ্যেই নিঃগৃহীত এবং বঞ্চিত হয়েছে?  আমি প্রায় সবসময়েই এটা নিয়ে ভাবি। আশার কথা এটাই যে একদিন তারা আমার এই লেখা পড়বে আমার এবং আমাদের কথা জানবে। পরিশেষে একটি সুনির্দিষ্টি এবং সঠিক পথের সন্ধান পাবে- আমাদের মাধ্যমে। কারণ, এটাও অত্যন্ত সঠিক যে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে একজন চাকুরী প্রার্থীকে একটি সঠিক জায়গায় অর্থাৎ ভাল কোম্পানীতে চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি দারুনভাবে সাহায্য করতে পারবো। আর, এটা আমি পারবো আমার ১৫ বৎসরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে। আমরা একজন চাকুরী প্রার্থীকে প্রথমতঃ বিনামূল্যে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং  দ্বিতীয়তঃ আত্মউন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আর তৃতীয়তঃ আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আর সবচে’ বড় কথা হলো-  তারজন্যে আমি বা আমরা কোন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।        

Monday, October 17, 2016

উন্নতির সম্ভাবনা যাচাই করা



প্রথমে ধরতে শেখা।
তুমি যখন একটা কাজের কথা ভাববে, সেখানে তুমি কোন রকম সচেতনতা ছাড়াই বুঝতে চেষ্টা করবে- সেখানে সেই কাজে উন্নতি করা সম্ভব কি-না এটা সবাই করে, আমিও করি কেমন হয়- যদি তুমি সচেতন ভাবে বুঝতে চেষ্টা কর যে এই কাজে উন্নতি করা তোমার পক্ষে কতটুকু সম্ভব অাসলে সেটাই উচিত। যদিও সবাই কিছু-না-কিছু উন্নতি করতে পারে কিন্তু সত্যিকারের সাফল্যের জন্য তোমার ভাবনায় গভীরতা থাকতে হবেকারণ যেখানে গভীরতা আছে সেখানে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশী থাকবে চ্যালেঞ্জ নেয়ার মত মানসিকতা থাকার পরেও অনেকেঝরে পড়ে এর কারণ কিন্তু গভীরতার অভাব সাফল্যের জন্যে দীর্ঘ দিন, দীর্ঘ পরিসরে কাজ করার মানসিকতা থাকা যতটা জরুরী তার চেয়ে অনেক বেশী জরুরী হলো- টিকে থেকে উন্নতি করার বাস্তবিক চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে পারা   সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় দেখেছি সম্ভাবনাময় অনেক তরুণ এখানে কাজ করতে আসে কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে মাঝ পথে এবং কেউ বা শুরুতেই হারিয়ে যায়। আবার এমন প্রচুর উদাহরণ আছে যারা ব্যর্থ হয়েছে শুধুই পরিশ্রম করার ক্ষমতা নেই বলে। সত্যি বলতে কি- পরিশ্রম করার এই ক্ষমতা যাদের কম থাকে এবং কষ্টকর দিন-রাত্রি গুলো ডিউটি করে পার করা যাদের কাছে বিশাল-কঠিন তাদের জন্যে আমার দুঃখ হয় এই বলে যে- “হায়রে, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েও বুঝলো না- ‘মানুষ’-এর কি বিশাল শক্তি আর ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা দিয়ে দিয়েছেন।” এটা যদি ওই ব্যর্থ হয়ে ঝরে পড়া মানুষটা জানতো তাহলে সে কখনোই ব্যর্থ হতো না। যাই হোক, যে কথা বলছিলাম তা হলো- কোন কাজে যখন তুমি উন্নতির সম্ভাবনা দেখবে, তখন তোমার উচিত হবে কাজটা শুরু করা। চ্যালেঞ্জটা নিয়ে দীর্ঘদিন টিকে থেকে সফল হওয়ার যে স্বপ্ন তোমার, সেটাকে সব সময় চোখের সামনে রাখবে। দেখবে- স্বপ্নটা সবসময় চোখের সামনে অর্থাৎ মনে থাকার কারণে এটাই তোমার সবচে’ বড় চালিকা শক্তি হয়ে তোমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে।
নিচের এই ভিডিওটি দেখ। খুবই চমৎকার একটি ভিডিও। আশা করি ভাল লাগবে এবং অনেক অনুপ্রেরণা পাবে।     

Monday, September 19, 2016

দুঃসাহসী মানুষ বেয়ার গ্রিলস

Bear Grylls
 পৃথিবীতে দুঃসাহসী মানুষদের নাম বলতে গেলে বেয়ার গ্রিলস-এর নাম চলে আসে। ডিসকভারি চ্যানেলের “ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড” প্রোগ্রামে তিনি বহুল পরিচিত একটি মুখ। যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে কম বয়সে তিনি প্রধান স্কাউট হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
ছেলেবেলায়  তার বাবা তাকে ঘোড়ায় চড়া শিখানোর সময় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। অবশ্য প্রথমবার ঘোড়ায় চড়ে যদিও তিনি খুবই মজা পাচ্ছিলেন। তার পড়ে যাওয়ার পরে তার বাবা মুখে বড় একটা হাসির রেখা টেনে হাততালি দিতে দিতে  তার  কাছে গিয়ে বলেছিলেন, “তুমি কতটা ভালো অশ্বারোহী, সেটা মূল কথা নয়। বরং কতবার পড়ে গিয়ে তুমি কতবার আবার ঘোড়ার পিঠে উঠে বসেছ, সে সংখ্যাটাই বড়। অশ্বারোহন আর জীবন—দুটো ক্ষেত্রেই এই কথাটা তোমার কাজে আসবে।”
তার বাবা অাসলে সেদিন তাকে জীবনের মূল মন্ত্রটাই শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন, যদি কেউ প্রথম একটা কিছু শুরু করে, তবে কাজের কোনো এক মোড়ে এসে সে বাধা পাবেই। এটাকে কুলক্ষণ নয় বরং সুলক্ষণ হিসেবেই ধরে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ তুমি যা করছ, তা নিশ্চয়ই অনেক বড় কিছু। কেননা, একটা সহজ পথ তোমাকে কখনো বড় কিংবা চমকপ্রদ কিছুর কাছে নিয়ে যাবে না। বরং একটা ভয়ানক পথই অনেক অসাধারণ কিছু উপহার দিতে পারে। আমরা যে বারবার পড়ে গিয়েও আবার নতুন করে শুরু করতে পারি- আসলে এটাই আমাদের যোগ্যতা। যেমনটা ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে আমরা করে থাকি। জীবনটাও অশ্বারোহনের মতোই।
তিনি লিখেছেন- “হাল ছেড়ো না। কেননা, একেকটি ব্যর্থতা নতুন সাফল্যের কাছে এগিয়ে যাওয়ার একেকটি ধাপ। কারণ, যখন তুমি হাল ছেড়ে দেবে, তখনই তোমার কাঙ্খিত জিনিসটি তুমি হারাবে। এবং ঠিক তখনই তুমি হেরে গেলে। তুমি যদি কিছু চালিয়ে যাও, সেটাতে আর যা-ই হোক, একটা ফল পাবেই।”
উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, “সাফল্যের যোগ্যতা হচ্ছে একটি ব্যর্থতা থেকে আরেকটি ব্যর্থতার কাছে ধরা দেওয়া, কিন্তু একই রকম উদ্যম নিয়ে। আমি যখন ফিরে তাকাই, তখন আমি অসংখ্য ভুল দেখতে পাই। একই সঙ্গে অনেক অর্জনও চোখে পড়ে। পৃথিবীতে অনেকে আছে, যারা তোমার সমালোচনা করবে। নতুন ব্যবসা শুরু করা, ম্যারাথনে অংশ নেওয়া কিংবা পদোন্নতি—যা-ই হোক না কেন। তোমাকে অবশ্যই বাঁধার সম্মুখীন হতে হবে। এবং সেখান থেকেই স্বপ্নটাকে ছিনিয়ে আনতে হবে।”
বেয়ার গ্রিলস আরো লিখেছেন- “লেগে থাকো। মনে রেখ, কেউই বাঁধা ছাড়া কিছু করতে পারেনি। বড় কিছু করতে হলে অবশ্যই অনেক বাজে কিছুর মধ্য দিয়েই যেতে হবে। তবে যখন তুমি কিছু অর্জন করবে, তখন কেউ সেই বাঁধার কথা জানবে না। শুধু জানবে, তোমার কথা। তোমার অর্জনের কথা। তুমি পড়ে যাবে; আবার উঠে দাঁড়াবে। যেমনটি চার্চিল বলেছিলেন, ‘তুমি যখন সবচেয়ে বাজে মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ, তখনও থেমো না। চলতে থাকো। তুমি অবশ্যই অনেক ভালো কিছু পাবে যদি তুমি চেষ্টা করো। পড়ে যাও, আবার উঠে দাঁড়াও এবং চলতে থাকো। কিছু না কিছু তোমার জন্য থাকবেই। অনেকে তোমার স্বপ্ন চুরি করতে চাইবে। বলবে তুমি নির্বোধ। অহেতুক ছুটছ। কিন্তু তুমি পার্থক্যটা টের পাবে, যখন তুমি তোমার স্বপ্নচূড়ায় উঠে দাঁড়াবে। বিশ্বাস করো, স্বপ্নের চূড়ায় উঠে দাঁড়ানোর অনুভূতিটা অসাধারণ!”


সূত্রঃ ইন্টারনেট

Wednesday, August 17, 2016

জিততে শেখা

  
কিভাবে জিততে হয়- এটা আবার শেখার বিষয় হলো নাকি? এর উত্তরটা এখানে আমি এভাবে দিতে চাই-  “আমার যে সামর্থ্য আছে সেটা দিয়ে কিভাবে আমি জিততে পারবো- সেই বিষয়টাই আমার কাছে মনে হয় সবচে’ ভাল করে শেখার মত একটা বিষয়। আসলে সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন এটা নয়। প্রশ্নটা হলো- মানসিকতার। এই বাতাসটাই ধরতে পারে না বেশির ভাগ মানুষ। আর ঠিক এই কারণেই বেশীর ভাগ মানুষ স্বপ্ন-টপ্ন বাদ দিয়ে সাধারণ জীবন-যাপন বেছে নেয়  কিংবা ভাগ্য-দোষ হিসাবে মেনে নেয় সব কিছু।” এভাবে স্বপ্নের মৃত্যু হয়। সে হেরে যায়। কিন্তু আমি বলবো তুমি আশা হারাবে না কখনো। কখনোই হাল ছাড়বে না। পথে অনেক বাধা। আমার যেমন হয়েছে- একটা কম্পিউটার দরকার। সস্তার ভিতরে কিছু একটা- হোক তা সেকেন্ডহ্যান্ড। মাত্র ৮/১০ হাজার টাকার মধ্যে হলেই চলবে। কয়েক মাস অপেক্ষা করার পর আমার একজন শুভাকাংঙ্খী এবং একসময়ের ঘনিষ্ঠ  সহকর্মী আশিকুল বাশার ভাই একটা নতুন পিসি পাঠিয়ে দেন। তিনি রাগ করেছিলেন এটা বলে যে আরো আগে কেন এই সাপোর্টটা আমি চাইলাম না। তারপর?  একটা হেড ফোন কিনতে লাগবে ৭৫০টাকা। একটা ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার মাত্র ৫০০ টাকা। কিন্তু তাও নেই আমার কাছে। নূন আনতে পানতা ফুরায় এমন যখন অবস্থা, তার উপরে বাড়তি সমস্যা হলো আরেকটি- কয়েকটি টেকনিক্যাল বিষয়ে একেবারেই একাকী শিখে-বুঝে নিতে হবে। তারপরে সেই জানা টাকে নিজের মতো করে প্রয়োগ করে আয় করতে হবে অনলাইন থেকে। এর ভিতরে ভিডিও মেকিং সফটওয়্যার- ক্যামতাশিয়া, ভিডিওস্ক্রাইব, ফটোশপ, আফটার ইফেক্ট, অডিওস্পেকট্রাম -এগুলোর ব্যবহার ভালভাবে রপ্ত শুধু নয়-রীতিমতো অভিজ্ঞ একজন হতে হবে। ফলে- সময়টা কোথায় কী পরিমান যাবে -বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়ার কথা একবারও মনে আসেনি। এমনও হয়েছে যে- দিনের পর দিন- কেটে যাচ্ছে এভাবেই কিছুই কিনতে পারছি না। কিনতে পারার সামর্থ্য নেই বলেই এই সমস্যা কিন্ত আমার শিখে নিয়ে প্রয়োগ করা এবং এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে সফল হওয়ার জন্য যে সামর্থ্য দরকার, তা নিয়ে আমার ভিতরে কোন সমস্যা, সংশয় বা দ্বিধা- কোনটাই নেই। আমি জানতাম আমি পারবো। কারণ আমি অনেক ছোট বেলাতেই শিখেছিলাম- কিভাবে জিততে শিখা যায় সেই বিদ্যা। তাই বলছি- আমার মনে হয়, কিভাবে জিততে হয়- সেটা শেখা অবশ্যই গুরুত্ত্বপূর্ণ।

Tuesday, July 5, 2016

যে কোন একটা কাজ চাই

সাফল্য বলতে আসলে কতকগুলি ধাপ অতিক্রম করতে পারার দক্ষতাকে বোঝায়। কিন্তু শুরু করতে প্রথমে একটা কাজ-তো চাই। কারণ, কোন একটা কাজ পেলে অন্ততঃ শুরুটাতো করা যাবে- তাই না? তার মানে প্রথম ধাপটায় পৌছুনো যাবে। ঠিক আছে, তোমার কাজের, অর্থাৎ চাকরীর ব্যবস্থা আমি করে দেব। তবে একটা শর্ত আছে। উঁহু, এই চাকরীর জন্য তোমাকে এক টাকাও দিতে হবে না আমাকে। অনেক ভাল-বেতনের চাকরী না-হলেও মাসে অন্ততঃ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার ভিতরেই থাকবে তোমার প্রাথমিক আয়।

  যারা এই চাকরীর মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরনের পথে প্রথম ধাপে (একটা কাজ বা চাকরী) পৌছাতে পারবে, তাদের এমন মনে করার কোন কারণ নেই যে, সাফল্য চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। সেরকম যদি ভেবে থাকো, তাহলে অনেক বড় একটা ভুল হবে তোমার। কারণ তুমি মাত্র প্রথম ধাপে এসেছো। এই প্রথম ধাপ অতিক্রম করার আগে চাকরীতে তোমার প্রথম লক্ষ্য হবে টিকে থাকার চেষ্টা করা। কারণ, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই টিকে থাকার আরেক নাম হলো সাফল্য। আমার ব্ন্ধুদের ভিতরে যারা চাকরী ক্ষেত্রে ধৈর্হ্য সহকারে টিকে আছে, তারা সময়মত ইনক্রিমেন্ট পেয়েছে, প্রমোশন পেয়েছে এবং অনেকেই বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাছাড়া তারা প্রত্যেকেই ব্যাংকে ভাল টাকা জমিয়েছে। সবচে’ বড় কথা হলো- আর কিছুদিন পরে যখন তারা অবসর গ্রহন করবে তখন একেকজন কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকার পেনশন পাবে। এছাড়া চাকরীতে থাকতেই তারা অনেকেই জায়গা-জমি কিনেছে, বাড়ি করেছে। তাদের ছেলেমেয়েদের ভাল স্কুলে পড়াচ্ছে। তারমানে টিকে থাকলে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়ে যায়। কিন্তু টিকে থাকতে যেয়ে তাদের কাউকেই কঠিন কোনো যুদ্ধ করতে হয়নি। যা করতে হয়েছে তা হলো সততা আর ন্ষ্ঠিার সাথে চাকরী করে যাওয়া। আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি। ধরো তুমি একটা মুদির দোকান দিয়েছ। এখানেও কিন্তু সেই টিকে থাকার প্রশ্নটা চলে আসে। খুঁজে দেখতে গেলে, খুব কম মুদি দোকানদারকেই পাওয়া যাবে যারা সফলভাবে অনেক বছর টিকে আছে। বেশীর ভাগ মুদি দোকানদার প্রথমে কিছুদিন ভালভাবে চালাতে পারে। পরে নানান কারণে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেয় বা দিতে বাধ্য হয়।কিন্তু যারা টিকে থেকেছে তারা তাদের শ্রম, নিষ্ঠা, ধৈর্হ্য এবং সঠিক একটা পরিকল্পনার সাহায্যে ঠিকই তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে। চোখ মেলে দেখলে দেখবে এদের সংখ্যা কম। চাকরীর ক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে ৫টি খুব  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে- 

১।  সততাঃ  সততা ছাড়া কেউ যদি সাফল্যের স্বপ্ন দেখে থাকে, আমি বলবো সে বোকার স্বর্গে বাস করছে। সততার ক্ষুদ্রতম অংশও যদি তুমি ইচ্ছাকৃতভাবে ভঙ্গ কর, জেনে রেখ- লক্ষ্যে পৌছুতে পারাটাকে তখন তুমি জটিল এবং কঠিন করে ফেলবে। তুমি হয়তো বলতে পার - কত মানুষতো দুই নম্বরী করে প্রচুর টাকা পয়সা কামাচ্ছে। তাহলে তারা কী সফল না? আমি বলবো - না, তারা সফল না। সত্যিকারের সফলতার যে সুখ এবং শান্তি- তার ধারে কাছেও নেই তারা। আক্ষরিক অর্থে তারা সুখী নয়। একজন সফল রিকশা চালকও, যে কি-না অন্য মালিকের রিকশা ভাড়া করে চালাতে চালাতে একসময় নিজেই ২০/২৫টা রিকশার মালিক হয়েছে, সে শান্তিতে যে ঘুমটা দিতে পারে, ঐ দুই নম্বরী করে ধনী হওয়া মানুষটি কিন্তু তা পারে না।শান্তি জিনিসটা টাকা দিয়ে কেনা যায় না।তবে এইটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, তুমি যদি সততা বজায় রাখ এবং যে কোন একটা কাজ দিয়ে কর্ম-জীবন শুরু কর, তাহলে তোমার লক্ষ্য পূরণ করাটা তখন হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র। একটা কাজ বা চাকরী তোমাকে অনেক কিছু দিতে পারে। কিন্তু আমি বলবো আর তুমি অন্ধের মত আমার কথা বিশ্বাস করবে - এটা আমি চাইনা। আমি চাই আমার কথাগুলি তুমি মিলিয়ে দেখ যে, তোমার লক্ষ্য পূরণের পথে আমার কথা তোমাকে সত্যি-সত্যিই সাহায্য করবে কি-না। কিংবা আমি ভুল কিছু বলছি কি-না। যদি ভুল মনে হয়, এই লেখা তোমার পড়ার দরকার নেই। এই লেখা তাহলে তোমার জন্যে নয়। এই লেখা শুধু মাত্র তাদের জন্যে যারা- শুধু স্বপ্নই দেখেই দিন পার করে না বরং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নিজের জ্ঞান, বিবেক-বুদ্ধি, শ্রম, সততা আর আত্নবিশ্বাস নিয়ে, সহজ একটা কাজ দিযে সহজেই শুরুটা করতে চায়। এর জন্য, আগে আমার লেখা ভালভাবে পড়তে হবে। বুঝতে হবে নিজেকে।  আর মনে রাখতে হবে- সব কিছুর উপরে সততা। সততার একটা ইমেজ তৈরী করতে সময় লাগবে। এটা রাতারাতি হয় না। তাই প্রথম থেকেই এই বিষয়টার দিকে সতর্ক-মনোযোগ রাখবে।সবাইকে বুঝতে দাও যে তুমি একজন সৎ মানুষ। তোমার প্রসংগ এলে সবার ভিতরে যেন একটা নিশ্চিত বিশ্বাস জন্মায় যে- তোমার দ্বারা খারাপ কিছু ঘটবে না। তুমি মিথ্যা কথা বলবে না।তোমার কর্তৃপক্ষকে তোমার উপর নির্ভর করতে দাও। দেখবে- এই জিনিষটাই একসময়ে তোমার সামনে এগিয়ে যাওয়াকে সহজ করে তুলবে।    

২।  শৃঙ্খলাঃ    সব ক্ষেত্রেই যে কোন কর্তৃপক্ষ তার কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল দেখতে পছন্দ করে। তোমার যদি একটা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদেরকে তুমি নিঃশ্চয়ই বিশৃঙ্খল দেখতে পছন্দ করবে না। তুমি হয়তো ভাবছো আমার আবার প্রতিষ্ঠান কিসের? এটাতো অসম্ভব একটা ব্যাপার।  না, অসম্ভব কিছু নয়। তোমার একটা প্রতিষ্ঠান হতে পারে, যদি তোমার তেমন স্বপ্ন থাকে এবং বিশ্বাস থাকে যে- তুমিও একজন মানুষ। আর- মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। কিন্তু তার জন্য তোমাকে তোমার কাজের ধাপ তৈরী করা এবং কিভাবে এরপরের ধাপে পৌছুতে হবে সেটা আগে শিখতে হবে। অথাৎ তোমাকে একটা সহজ সঠিক পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে।  আর চাকরী ক্ষেত্রে তুমি যে কোম্পানীতে চাকরী করবে সেটাকেই ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে এটাই আমার প্রতিষ্ঠান। তাহলে দেখবে চাকরী করা তোমার জন্যে সহজ হয়ে যাবে। আর চাকরী সহজ হলে তোমার লক্ষ্যপূরণ করাও তখন সহজ হয়ে যাবে। 

৩।   পোষাক-পরিচ্ছদঃ     আমি বলবো সহজ কথায়- যে পরিস্কার পোষাক পরে সে সব জায়গাতেই গ্রহন যোগ্যতা পায়। তোমার পোষাক পরিচ্ছদ যখন ঠিক থাকবে না- তখন অনেকেই তোমার সাথে তাচ্ছিল্য করে কথা বলবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের বার্ষিক-মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। সেখানে সারা বছরে তোমার পোষাক-পরিচ্ছদ কেমন ছিল, তোমার সুপারভাইজার সেটার উপরে নম্বর দিয়ে রিপোর্ট তেরী করে অফিসে জমা দিবে। যদি সেখানে তুমি কম নম্বর পাও তাহলে প্রমোশন দেরীতে পাবে অথবা পাবেই না। তোমার মূল্যায়ন যেন কোন অবস্থাতেই কমে না-যায় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবে চাকরীর প্রথম দিন থেকেই। সেটা অনেক কঠিন কোন কাজ। মোটেই না। সুন্দর পরিচ্ছন্ন পোষাক পরার একটা অভ্যাস নিজের ভিতরে তৈরী করতে হবে। 

৪।  দায়িত্ব পালনঃ     কোন প্রতিষ্ঠানেই কাউকে তার যোগ্যতার বাইরে কোন কাজ দেয়া হয় না। তুমি যা পারবে তা-ই তোমাকে দেয়া হবে। যদি এমন কোন কাজ তোমাকে দেয়া হয় যে কাজ তুমি পার না, সেক্ষেত্রে তোমাকে প্রশিক্ষন দিয়ে সেই কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। তাই দায়িত্ব পালন বিষয়ে টেনশনের কিছু নেই। তবে দাযিত্বে অবহেলা করে নিজের ক্ষতি করা উচিত নয়। আগেই বলেছি কেই তোমাকে এমন কোন কাজ দিবে না, যা তোমার দ্বারা সম্ভব নয়। তাই দ্বায়িত্ব ঠিক মত পালন করতে প্রথম থেকেই যত্নবান হওয়া উচিত। 

৫।   বাড়তি কাজঃ    বাড়তি কাজ এলে কখনো এড়িয়ে না গিয়ে ধৈর্হ্য সহকারে সেটা শেষ করে ফেলবে। যদি কোন কারণে সেটা না-পার তাহলে তোমার সুপারভাইজারকে সেটা জানাও যে- কেন তুমি পারছ না। কিন্তু ভুলেও নিজে-নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই কাজ অসমাপ্ত রাখবে না। 

কাজের ধরন দেখতে এখানে ক্লিক কর
 
Blogger Templates