Hey there. I'm Md. Zakir Hossain. I'm a Freelance Writer. Learning & implementing professional aspects is almost my daily work & I have done this almost for 30 years. For the last couple of years, I have been working on SEO-friendly content writing works in digital marketing. I'm Married & father of one sun & one daughter. That's about me as an introduction.
প্রথমেই আমি বলবো শুরু থেকে শুরু করতে। এর মানে হলো- আমি শুধু তাদেরকেই বলছি যারা কিছু একটা কাজ খুঁজছো। কিন্তু কোথাও কোন কাজ পাচ্ছ না। ফলে আয় করতে পারছ না। ক্রয় ক্ষমতা প্রায় শুন্যের কাছাকাছি। আমি তাদেরকেও বলছি যারা শুরু করে বার বার ব্যর্থ হয়েছ এবং সেই ব্যর্থতার গ্লানি বইতে বইতে ক্লান্ত এবং হতাশ হয়েছো। হতে পারে- সেটা তোমার নিজের ভুলের কারণেই হয়েছে কিংবা কারো বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তুমি শেষ হয়ে গেছ। কিংবা হতে পারে- তুমি আসলে দূর্ভাগ্যের শিকার। কিন্তু যাই ঘটুক না কেন তোমার জীবনে, শুরু তো আবার করতেই হবে, তাই না? এ’কারণেই আমি বলছিলাম- শুরু থেকে শুরু করতে।কিন্তু শুরু থেকে শুরু করাটা সব সময়েই কঠিন। কী দিয়ে শুরু করবো - সেটাই একটা বিরাট প্রশ্ন। সত্যিই তো, কোথা থেকে শুরু করবো? প্রথমে, শুরু করতে হবে নিজেকে দিয়ে। হ্যাঁ, এটাই সত্যি যে তোমার নিজেকে দিয়েই আগে শুরু করতে হবে এবং নিজেকে দিয়ে শুরু করার সময়ে যা মনে রাখতে হবে তাহলো- পুরো বিষয়টাই একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রা শুরু করার মতো। নিজেকে দিয়ে শুরু করার সময়ে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিষটি তোমার দরকার সেটা হলো- একটা দৃষ্টিভঙ্গি। এটা অনেক পুরোনো কথা যে- “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে”। তবুও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দু’টো কথা বলা যায়। অর্থের দিক থেকে দৃষ্টিভঙ্গি’ কথাটার মানে হলো- কোন বিষয়কে কোন দৃষ্টি-কোণ থেকে দেখবে? পুলিশের চোখে দেখবে না-কি রাজনীতিকের চোখ দেখবে? শিক্ষকের চোখে দেখবে না-কি গবেষকের চোখে দেখবে? খেলোয়াড়ের চোখে দেখবে না-কি নায়কের চোখে দেখবে? -দৃষ্টিভঙ্গির ঠিক এই বিষয়টাকে, তুমি সাধারণ চোখেও দেখতে পারো, আবার চ্যালেঞ্জ হিসাবেও নিতে পার। তুমি যদি মনে করো এটা একটা ধাপ অতিক্রম করার খেলা- তাহলে তাই। মোট কথা হলো- তোমাকে আগেই একটা দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করতে হবে এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গি মনের ভিতরে জিইয়ে রাখতে হবে। হতে পারে পেশাগত জীবনে তুমি হঠাৎ একদিন কোন দোষ না-করেও দোষী হলে কিংবা অপমানিত করে কেউ একজন গালি দিল তোমাকে। তাহলে কী হবে? ধরো এর জন্যে তুমি আগেই একটা দৃষ্টিভঙ্গি মনের ভিতরে লালন করতে। আর সেটা হতে পারে এমন-
১। কেউ যদি নোংরা মনের হয় - সেটা আমার সমস্যা নয়। সে নোংরা মনের হলেও আমি হব না। বরং যতটা সম্ভব এ’ধরণের মানুষদের এড়িয়ে চলবো। এড়িয়ে চলতে না-পারলেও তাকে যথাযথভাবেই সন্মান করবো ।
২। এরকম খারাপ মানুষ পৃথিবীতে আগেও ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি এ’ধরণের নোংরা মানুষদের নোংরা কখায় বিচলিত হই না।
৩। যে খারাপ সে সব জায়গাতেই খারাপ আচরণ করে। যে ভাল, সে সব জায়গাতেই ভাল আচরণ করে।
উপরের এই তিন প্রকার উদাহরণ দিয়ে এটাই বোঝাতে চাইলাম যে- তোমার মন যেন ক্ষত-বিক্ষত না-হয় সে’জন্যে তোমার দরকার একটা দৃষ্টিভঙ্গি। যদি তেমন কোন দৃষ্টিভঙ্গি তোমার না-থাকে, তাহলে- তোমার মনের মূল যে শক্তির জায়গা, সেখানেও আঘাত লাগবে এবং তোমার পরিকল্পনা, ধৈর্হ্য, এবং শক্তিকে ভেঙ্গে গুড়িযে নিমিষেই চুরমার করে দেবে এবং সফলতার পরিবর্তে তুমি পাবে ব্যর্থতা। তোমার দৃষ্টিভঙ্গি তোমাকে সেই চরম ক্ষতির হাত থেকে সহজেই রক্ষা করতে পারে। তাই শুরু করতে হবে নিজেকে পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে।